এই ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়টাকে নিয়ে
আর কতটা পথ হাঁটা যেতে পারে
অবহেলা-অপমানে প্রিয়দের অপবাদে!
আকাশেরও ঝরে পড়ে অশ্রু-
বিষাদ সিন্ধুও করে ভয়!
চমকে ওঠে নিয়তি অবচেতন মনে!
দ্বি-প্রহরকে পিছে ফেলে নক্ষত্র হেলে পড়ে
মেঘেই তো ঢেকে ছিল সারা দিনমান;
একবারই শুধু উঁকি দিয়েছিল
সবুজ জমিনে লাল সূর্যকে নিয়ে,
হৃদয় থেকে অনেকটা রক্তও ঝরেছিল!
প্রতিটি মুহুর্তই ছিল দীর্ঘ মরুর মত!
কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম গিরি-তিমির রাত্রির মত,
অথচ মুক্তি পাগল মনটা এখনও কাঁদে!
তাই অবসাদ ক্লিষ্ট মনটা অনেকটাই বুড়িয়ে গেছে!
দিগন্ত রেখার দিকেই চেয়ে থাকি সারাক্ষণ;
নিজের অজান্তেই বেড়িয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস!
জন্মান্তরের হিসেবটাও বড় বেশি বিচলিত করে!
কাঠ-খড় পোড়াবার সময় তো নেই আর,
তবে, অতন্দ্র প্রহরীর মত
লেখনী এগিয়ে চলে আগামীর তরে,
যবনিকার পরেও অফুরন্ত সময় অপেক্ষমান,
সেখানেও কি গাঢ় অন্ধকার!
নাকি ঊষার আলোয় পাবো সোনালী প্রভাত?
রচনাকাল: ১০/১২/২০১৫