সৃজনকর্তা স্রষ্টার প্রতি
আনুগত্যের অস্বীকার-নিশ্চিত অহংকার!
যা নাকি একেবারেই অবান্তর,
অবিশ্বাসেরই নামান্তর!
হতে পারে, অপার্থিব অধিকারের
নির্জলা বিসর্জনের অস্থির অহম!

সৃষ্টির রহস্য আবৃত আজও!
প্লাবনের গর্জন, মেঘে মেঘে ঘর্ষণ-
অজস্র জলের সাথে বরফের বরিষণ;
বিদ্যুতের চমক আর স্বপ্নের দর্শন
ভূগর্ভে লুকায়িত অফুরন্ত সম্পদ কি
প্রকৃতির স্বয়ংক্রিয় আন্দোলনের ফসল?
যা নিজেই ভঙ্গুর, ক্ষণস্থায়ী, অন্যের অধীন!

সাগর-মহাসাগর, খাল-নদী-বিল
মানুষের আহার আর সম্পদরাজি
একই পৃথিবীতে আরেক জগৎ!
কতটুকু জানি তার কতটুকু বুঝি!
অগণিত পর্বতে বরফের মেলা!
এসবই কি সৃষ্টির অযাচিত খেলা?

তরঙ্গ কি অপরূপ বিস্ময় নয়?
আত্মার খোরাক নিয়ে বাতাস বহমান
কোথায় নেই স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ?
কোথায় নেই তার-
অমরত্ম আর মহোত্তমের সম্মান?

জ্ঞানের অহমবোধ, ষড়যন্ত্রাশ্রিত মানুষ
কৌশলের খেলা খেলে ধারণার বশে,
পাগলের প্রলাপ শুনে স্রষ্টা নিশ্চিত হাসে!
সৃষ্টির জ্ঞান নরাধম বিজ্ঞানীর মগজে?
এ মগজের স্রষ্টা কি স্বয়ং?
এ সবই সুক্ষ, নিপুণ সৃষ্টি,
যার মহা কারিগর ‘আল্লাহ্’।

অধিকার কার আছে সংশয় সৃস্টির?
চিন্তা কেন হয়? কোথা তার জন্ম?
কোথা থেকে আসে এতো কবিতা?
হৃদয় না হ’তো যদি সৃষ্টি
প্রেম-ভালবাসা, মায়া আর মমতা
হ’তো কি গো মধুময় মিষ্টি?

 

রচনাকাল: ২২/১২/২০১৫

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।